শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৩২ অপরাহ্ন
ভয়েস প্রতিবেদক, মহেশখালী:
মহেশখালীতে সীমান্ত এলাকা টেকনাফ দিয়ে দিন দিন প্রবেশ করছে ইয়াবা। এসব ইয়াবা ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে যতই কঠোর হচ্ছে প্রশাসন পাচারকারীরা তাদের নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করে তাদের কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে। এদিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাদক পাচার প্রতিরোধে কঠোর ভূমিকা পালন করে আসছে, মহেশখালী থানা প্রশাসন। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ১৩টি মামলায় বিভিন্ন ধাপে ১,৩১,৯২৭পিছ ইয়াবা, ৫০০লিটার দেশীয় মদ ও ২০০লিটার ওয়াস উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। যার আনুমানিক মুল্য কোটি টাকার অধিক।
১৮ই নভেম্বর সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মহেশখালী থানা কর্তৃক পুরাতন আদালত প্রাঙ্গণে মহেশখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এসব উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ধংসকরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উক্ত মাদকদ্রব্য ধংসকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,মহেশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোয়েব উদ্দিন খান,মহেশখালী থানার ওসি তদন্ত তাজ উদ্দিন,সিএসআই রুপক, মহেশখালী থানার এসআই আল আমিন,মহেশখালী থানার মালখানার ইনচার্স হারুন অর রশিদ ,এসআই মহি উদ্দিন’সহ মহেশখালী থানার পুলিশ টিম ও মহেশখালীর কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।
মহেশখালী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোয়েব উদ্দিন খান বলেন, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে এসব মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। আলামত গুলোর মামলার রায় হয়ে যাওয়ায় এসব মাদকদ্রব্য গুলো থেকে ১৭৯০পিছ ইয়াবা ও ৫০০লিটার দেশীয় মদ ও ২০০লিটার ওয়াস ধংস করেছি।বাকি ইয়াবা গুলো ডিসেম্বর মাসে ধংস করা হবে।
মহেশখালী থানার ওসি তদন্ত তাজ উদ্দিন বলেন, আমরা গত ২০২৩ইং থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া ১লক্ষ ৩১ হাজার ৯২৭ পিছ ইয়াবা, ৫০০লিটার দেশী মদ ও ২০০লিটার ওয়াস’সহ আলামত গুলো থেকে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে ১৭৯০পিছ ইয়াবা, ৫০০লিটার দেশীয় মদ ও ২০০লিটার ওয়াস ধংস করেছি।বাকি ১,২৯,৯৬০ পিছ ইয়াবা ডিসেম্বর মাসে ধংস করা হবে। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে জব্দ হওয়া মাদক ও বিভিন্ন আলামত ধংস করা হবে।
ভয়েস/জেইউ।